কেরাণীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক পুনঃ-নির্বাচিত

বিএনপির কেরাণীগঞ্জ উপজেলা (দক্ষিণ) শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনঃ-নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী ও মোজাদ্দেদ আলী বাবু। নতুন কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ১০১ সদস্যের কমিটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

শনিবার উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক উপস্থিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সম্মেলনে উপস্থিত ২৫ জন কাউন্সিলর তাদেরকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে মতামত দেন।

সম্মেলনে আবু আশফাক বলেন, এই কাউন্সিলে আপনারা যারা বক্তব্য দিয়েছেন তাদের সবার বক্তব্য ছিল নিপুন রায়কে সভাপতি ও মোজাদ্দেদ আলী বাবুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান। আমি তাই সবার কাছ থেকে মতামত চাই। সেক্ষেত্রে যদি তাদের বাইরে কোনো প্রার্থী হতে চান তাহলে সেটা করতে পারেন।

এ দুজন ছাড়া কেউ প্রার্থী না হওয়ায় বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে বিএনপির কেরাণীগঞ্জ উপজেলা (দক্ষিণ) শাখার সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুর নাম ঘোষণা করেন আবু আশফাক।

সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

এর আগে সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগ মাঠে নেই। আছে পুলিশ লীগ, নির্বাচন কমিশন লীগ, ছিনতাই লীগসহ নানা লীগ। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তারা কী নির্বাচন করলেন? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয় তারাও ছি ছি ছি… করে। আওয়ামী লীগকে বলব কীসের এতো ভয় আপনাদের? যাকে ভয় পাবেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান কবরে, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছেন, তারেক রহমান তো সাত হাজার মাইল দূরে।

উপস্থিতি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আলাল বলেন, এখন আওয়ামী লীগের ভয় হচ্ছে আপনারা। আপনাদের সাহস ও একতাবদ্ধতাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভয়।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়ির আঙ্গিনায় এই সম্মেলন হয়। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, শহিদুল ইসলাম বাবুল ও নাজিম মাস্টার। সকালে জাতীয় পতাকা ও দলীয় উত্তোলন, রঙিন বেলুন ও সাদা কবুতর উন্মুক্ত করে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এই সময়ে জাতীয় সঙ্গীত এবং পরে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক প্রতিবেদন ও শোক প্রস্তাব করা হয়।