রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রিত ঢাকায় আগত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা-ছাত্রদের সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সদর থানার ওসি মো. আবদুর রহিম সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সরকারি স্থাপনায় হামলা, শহরের বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় সফরকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসাছাত্রদের তাণ্ডবে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় শহরের প্রধান সড়ক টিএ রোডে মাদ্রাসায় ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে হেফাজতকর্মীরা। সিগন্যাল বক্স ভেঙে ফেলায় ঢাকার সঙ্গে সিলেট ও চট্টগ্রামের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মাদ্রাসাছাত্রদের তাণ্ডবের সময় শহরের দাতিয়ারা এলাকার সাগর মিয়ার ছেলে মো. আশিক (২০) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে রেলস্টেশনে বিক্ষোভ করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রেল স্টেশনের সিগন্যাল, মাস্টার রুম, কন্ট্রোল রুম, টিকিট কাউন্টার, প্যানেল বোর্ডসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের কক্ষ ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের একটি টিকিট কাউন্টার, কন্ট্রোল প্যানেল ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে রেললাইনের ওপর নিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।