আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার শতাধিক অনুসারীকে উপজেলা পৌরসভা ভবন থেকে বের করে দিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় তাদের বসুরহাট পৌরসভা ভবনের বেতর থেকে বের করে দেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও কাদের মির্জার মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্ব কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কাদের মির্জার শতাধিক অনুসারী পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থান করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফের দুগ্রুপের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া এলাকায় সংঘর্ষ হলে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং পৌরভবনে বহিরাগতদের ভিড় বাড়তে থাকে।
একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পৌরভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কাদের মির্জার অনুসারী বহিরাগতদের পৌরভবন ছাড়তে ৫ মিনিটের সময় বেঁধে দিয়ে মাইকিং করে। পরে প্রশাসনের উপস্থিতিতে কাদের মির্জার অনুসারীরা পৌরসভা ভবন ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
এ সময় পৌরভবনের সামনে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম কবির, সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) মো. ফারুক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি, কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক মীর জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে করোনাকালীন শতাধিক বহিরাগত একসঙ্গে পৌরভবনে অবস্থান করায় তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা জানান, করোনাকালীন মাস্ক বিতরণ, পৌর নাগরিকদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো, জীবাণু নাশক স্প্রে ছিটানোর বিষয়ে এবং সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করার ব্যাপারে পৌরসভার কর্মচারী, কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে মতবিনিময় চলাকালে প্রশাসন এসে অবৈধভাবে বাধার সৃষ্টি করে। এবং কিছু দিন থেকে অযথা পৌরসভার রুটিন কাজেও হস্তক্ষেপ করে আসছে। আমরা কিন্তু চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আসছি।