আফ্রিকার দেশ ব্রাজিলে পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু চার হাজার ২১১ জনের। পাশাপাশি দেশটিতে রেকর্ড আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৮৬৯ জন।
দেশটিতে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণের হার বাড়ছে খুবই দ্রুত। হাসপাতালগুলোতে এখন রোগীর ঠাঁই নেই। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
কয়েকটি শহরে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষায় থেকে রোগী মারা যাচ্ছেন এবং অনেক জায়গায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
ইতোমধ্যে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে তিন লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। পরিসংখ্যানে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই তাদের অবস্থান।
কিন্তু ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো ক্রমাগতই লকডাউনের বিরোধিতা করে যাচ্ছেন। তার যুক্তি— অর্থনৈতিকভাবে দেশ আক্রান্ত হলে এর প্রভাব ভাইরাসের চেয়ে বেশি খারাপ হবে। এমনকি স্থানীয় কিছু কর্তৃপক্ষের জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
মঙ্গলবার বাসভবনের বাইরে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে বলসোনারো কোয়ারেন্টিনের সমালোচনা করেন। তার মতে, নিভৃতবাসের সঙ্গে স্থুলতা ও বিষণ্নতার সংযোগ আছে, যা বেকারত্বের দিকে নিয়ে যায়।
তবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ২১১ জনের মৃত্যু নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি বলসোনারো।
ব্রাজিলের এক কোটি ৩১ লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু মার্চেই ৬৬ হাজার ৫৭০ জন মানুষ মারা গেছেন, যা আগের মাসিক রেকর্ডের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি।
এদিকে দেশটিতে করোনাভাইরাসের ৯২টি ধরন চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পি.ওয়ান বা ব্রাজিল ভ্যারিয়্যান্ট, যা মূল স্ট্রেইনের চেয়ে আরও বেশি সংক্রামক।