আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, কারা ইসলামের জন্য কাজ করে আর কারা ইসলামকে ব্যবহার করে তা এদেশের মানুষের ভালো করে জানা হয়ে গেছে। ইসলামের লেবাস পরে যারা প্রকৃত অর্থে মানুষের বিপরীতে দাঁড়ায় মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ আয়োজিত ‘‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী, জাতির পিতার অবমাননাকারী, ইসলামের চেতনা বিরোধী ও লেবাসধারী, ভন্ড, ব্যাভিচারী, ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে জড়িত মামুনুল হক গংদের দৃষ্টাত্তমূলক শাস্তির দাবি’’ শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আজকে আমরা দেখছি স্বাধীনতাবিরোধীরা স্বাধীনতা দিবসে ভাঙচুর করে, হত্যা করে। তারা মসজিদকে ব্যবহার করে, মাদরাসায় বসে, ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসা করে। জনগণের ওপর হামলা চালায়। পোস্ট অফিসে হামলা চালায়, রেল স্টেশনে হামলা চালায়, থানা ঘেরাও করে, পুলিশের ওপর আঘাত হানে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এরা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষবাষ্প ছড়ায়, এদের কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। এদেরকে মাটির গর্ত থেকে বের করে এনে বিচার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মামুনুল হক গংদের যারা সমর্থন করে তারাও দেশদ্রোহী। তারা পাকিস্তানের এজেন্ট। আমরা বাংলাদেশে পাকিস্তানের এজেন্টদের দেখতে চাই না। প্রয়োজন হলে তাদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেশ থেকে বের করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
হেফাজতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা মহামারির মতো পরিস্থিতে দাঁড়িয়েও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি উঁকি দিচ্ছে। বিশ্ব নেতাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ যখন সার্বিক বিবেচনায় এগিয়ে যাচ্ছে। যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে ঠিক তখনেই মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওইসব মামুনুল হকদের। মসজিদ মাদ্রাসাকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ভেঙেছে, ভাস্কর্য ভেঙেছে, রেলস্টেশন ও রেললাইন উল্টিয়ে দিয়েছে, লাইব্রেরিতে আঘাত করেছে, উপমহাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁ’র স্মৃতি বিজড়িত স্থান ভেঙেছে, পুলিশের গায়ে হাত তোলেছে। সুতরাং ওদের চিনতে ভুল হয় না। যারা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিরোধীতা করেছিলো এরা তাদেরই উত্তরাধিকারী। তিনি বলেন, এরা বিবেকহীন। স্বাধীনতা বিরোধীদের চরিত্রের সঙ্গে এদের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন নেই। যখনেই সুযোগ পাবে তখনেই মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াবে। এদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। যেন বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে দাঁড়াতে না পারে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী সদস্য কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম (প্রিন্স), দপ্তর সম্পাদক কৃষিবিদ এম এম মিজানুর রহমান, কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, কেআইবি ঢাকা মেট্রোপলিটন শাখার সহ-সভাপতি কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেআইবি ঢাকা মেট্রোপলিটন শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম মাহবুবুল হাসান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এস এন মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন।