অবশেষে ক্যান্ডি টেস্টে বহুল প্রতিক্ষীত সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। শ্রীলংকার পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ২২৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
এ নিয়ে মুমিনুল হকের টেস্ট সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১টিতে। দেশের বাইরে এটি মুমিনুলের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এসময় মুমিনুল হকের এ ইনিংসকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে ধারাভষ্যকার বলেন, সবসময় দেশের বাইরে পারফর্ম নিয়ে সমালোচিত হতেন মুমিনুল। এ ইনিংস তার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক মুমিনুল । সবকটি দেশের মাটিতে। বিদেশের মাটিতে টেস্ট শতক না পাওয়ায় নানা কথা শুনতে হতো। নিজেও সন্তুষ্ট ছিলেন না। কোথাও যেন একটা কিছুর অভাব। দেশে ও দেশের বাইরে পারফরম্যান্সের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। ঘরের মাঠে ব্যাটিং গড় ৫৬.৩৯। বিদেশে মাত্র ২২.৩০।
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট ক্যাপ পরেছিলেন, সেখানেই মুমিনুল হক পেলেন প্রথম অ্যাওয়ে সেঞ্চুরি। পাল্লেকেলেতে বৃহস্পতিবার ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি পেলেন মুমিনুল, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যা তৃতীয়। ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিন শেষ করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সতর্ক ব্যাটিংয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যান এ ব্যাটসম্যান।
হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ১১৭ বলে। সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে আরও ধৈর্য, ক্ষুধা ও প্রচেষ্টা ছিল। খেলেছেন আরও ১০৭ বল। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বল কাট করে পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ৯৭ থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান এ ব্যাটসম্যান।
মুমিনুলের টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা রূপকথার চেয়ে কম ছিল না। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান প্রথম ১২ টেস্টে সাতটি অর্ধশতক ও চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে ব্যাটসম্যান হিসেবে তার ভূমিকা বেশ কিছুটা বদলে গেছে। মুমিনুলকে এখন কেবল টেস্ট বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
মুমিনুলও সাদা পোশাকে সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছিলেন। এই বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন।
এদিকে মুমিনুলের সেঞ্চুরির পরপরই ৩৪৩ বলে ১৫০ রানের মাইলফলক অর্জন করেন প্রথম দিনের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৭৮ রান।