জন্মের সময় ছিলে তুমি অসহায়।
মা বিনে কেউ হয়নি তোমার সহায়।
তোমায় পেয়ে ভুলেছে মা প্রসব যন্ত্রণা।
ধরিত্রীর স্পর্শে তুমি করেছিলে ক্রন্দন,
কেউ বুঝেনি তোমার বেদনা।
নরম শরীরে তেল দিয়ে করে দিল তোমায় পোক্ত।
তবুও তুমি হওনি মায়ের ভক্ত,
উদাত্ত যৌবনে হয়েছ নেশায় মত্ব।
যৌবনের রং মেখে ঘুরেছ মৌবনে,
বুঝনি ছলনার আড়ালে জীবনের মানে।
সন্তান হয়ে বুঝনি তুমি দুঃখিনী মায়ের ব্যাথা,
নিজের আমল নামা সাজিয়েছ তুমি পাপের মালা গাঁথা।
রং ধরা যৌবন, শেষ হবে ঝং ধরে।
আজও বুঝনি তুমি, বুঝবে অনেক পরে।
হয়তো ফিরবে আপন নীড়ে,
নয়তো হারাবে আধারে।
লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ।