“জনগণের কল্যাণ নয়, রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নেই ব্যস্ত বর্তমান সরকার”

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পূর্বে সরকার শতবার্ষিকী উদ্‌যাপনসহ নানা জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে সময় নষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভাইরাস এতটা সংক্রমণের হতো না যদি সরকার সময়মত আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতো। এই অনির্বাচিত অবৈধ সরকার জনগণের কল্যাণের তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নেই ব্যস্ত ছিল বেশি।

শনিবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ও সুপরিকল্পিত নীতি প্রণয়ন না করার কারণে বিভিন্ন সময় যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা ইতিমধ্যে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। চলমান ‘লকডাউনের নামে শাটডাউন’ অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের সর্বশেষ উদাহরণ। এবারকার লকডাউনে মানুষের দুরবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে। এর মূলে দুটি কারণ, একটি রাজনৈতিক, অন্যটি অর্থনৈতিক।

লকডাউনের নামে মূলত সরকার বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনকারী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন ঘোষণা করেছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, লকডাউনের শুরুর দিন থেকেই সারা দেশে ব্যাপকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। দেশের প্রখ্যাত আলেম-ওলামাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীকে নির্বিচারে গ্রেফতার ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

এ ছাড়া সরকারের অপকর্ম, দুর্নীতি, অত্যাচার, নির্যাতন ও ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যাতে কেউ কোনো শব্দ উচ্চারণ করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে কোনো না কোনোভাবে নিবর্তনমূলক আইনের আওতায় এনে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ মাসের এই দীর্ঘ সময়েও করোনা প্রতিরোধে ন্যূনতম ব্যবস্থাপনা কৌশল গড়ে তুলতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার। প্রথমবার করোনার প্রকট অজানা থাকার কারণে সম্যক প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়। কিন্তু এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় তো আর তা বলা যাবে না। বিগত এক বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগাম সমন্বিত বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা বা একটি কার্যকরী রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।