মানব পাচার ও অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ে দণ্ডিত বাংলাদেশের সাবেক সাংসদ কাজী শহিদুল ইদলাম ওরফে পাপুলের ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে৷ এর আগে দেশটির আদালত দু’মামলায় ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ কুয়েতি দিনার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার কুয়েতের একটি আপিল আদালত তার কারাদণ্ডাদেশ তিন বছর বাড়িয়েছেন।
কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তর সূত্র এবং দেশটির আরবি দৈনিক আল কাবাস এ খবর জানিয়েছে।
কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় ঘুষ লেনদেন ও মানব পাচারের অভিযোগে এবং অন্যটি করা হয় অর্থ পাচারের অভিযোগে। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের দায়ে আগেই তাঁর চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়। একই মামলায় এবার মানব পাচারের দায়ে আদালত ৩ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ কুয়েতি দিনারের অর্থদণ্ড দিলেন। অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলাটি এখনো বিচারাধীন।
মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতের রায়ে দণ্ডিত হওয়ার পর লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়।১৯৮৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার (শ্রমিকদের তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে চাকরি নিয়ে কুয়েত যান শহিদ। তখন তিনি ছিলেন অনেকটা নিঃস্ব। ১৯৯০ সালে ইরাকের কুয়েত দখলের কারণে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শহিদ আবার কুয়েতে যান।
গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে দণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত।