হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের অর্থের উৎস খোঁজা হচ্ছে বলে যানিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
এ ছাড়াও দলটির অর্থ জোগানদাতা মোট ৩১১ জনের খোঁজ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছয় কোটি টাকার বেশি লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আসা।
গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর তাকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সোমবার শাপলা চত্বরে সহিংসতার মামলায় তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
২৫ এপ্রিল পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামুনুলের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তিনি দেশে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টায় ছিলেন। তিনি সহ হেফাজত নেতারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টায় ছিলেন।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৫ সালে পাকিস্তান সফরের সময় মামুনুল ও তার শ্যালক নিয়ামাতুল্লাহ ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ওই সময়ে এই দুজন পাকিস্তানে প্রায় ৪৫ দিন অবস্থান করেন এবং একটি রাজনৈতিক দলের কাঠামো সংগ্রহ করেন। যেটি মামুনুল পরে হেফাজতে প্রয়োগের চেষ্টা করেন।
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। কদিন আগে নারায়ণগঞ্জের রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ আটক হওয়ার পর তাকে নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। মামুনুল অবশ্য দাবি করেছেন, তার সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।