সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা কর্মস্থলে ঈদের ছুটি কাটাবে

সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা কর্মস্থলে ঈদুল ফিতরের ছুটি কর্মস্থলে কাটাতে হবে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের এমন বিধিনিষেধ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ছুটি তিন দিনই থাকবে এবার। আমাদের প্ল্যান ছিল একদিন ছুটি দেওয়ার।

ঈদের ছুটির দু’দিন শুক্র ও শনিবারই মনে হচ্ছে যাবে। যাতে কেউ কোথাও যেতে না পারে, ঢাকা না ছাড়তে পারে। কারণ ঢাকা হচ্ছে করোনার উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা।

৮০ শতাংশ সংক্রমণই হয় ঢাকায়। ঢাকা থেকে বা ঢাকার আশপাশে থেকে শ্রমিকরা যদি ঈদের সময় অন্য জায়গায় চলে যায় তবে ম্যাসাকার হবে। সেজন্য আমরা চাচ্ছি সবাই কর্মস্থলেই থাকুক।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রে নির্দেশনা দেওয়া আছে, ছুটি তিন দিনই থাকবে, কেউ এর বাইরে ছুটি দিতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী এখনও চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করার বিষয় আছে। আমরা বলছি, ঈদের সময় যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। লোকজন মুভ করলে এটা ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে। ভারতের বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।’

এর আগে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও বলেছিলেন ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনো বন্ধ দেওয়া যাবে না। ঈদে সরকারি ছুটি তো তিন দিন, এর মধ্যে দুই দিন পড়ছে শুক্র ও শনিবার। তিন দিনের বাইরে কোনো ছুটি দেওয়া হবে না। শিল্প-কারখানায় সরকার নির্ধারিত তিন দিনের বেশি ছুটি দেওয়া যাবে না। সরকারি অফিসও এই তিন দিনই বন্ধ থাকবে।’

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ বা ১৪ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

আগামী ১২ মে (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তবে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মে-ও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মেও (শনিবার) ছুটি থাকবে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরে সাতদিন করে দু-দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

সেই মেয়াদ শেষ হবে আজ মধ্যরাতে। চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ৬ মে থেকে জেলার মধ্যে গণপরিবহণ চলবে। তবে আন্তঃজেলা গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। এছাড়া ট্রেন ও লঞ্চও বন্ধ থাকবে।