নেপালকে করোনার রেমিডেসিভির ইনজেকশন দিলো বাংলাদেশ

নেপালের জনগণের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ বেক্সিমকোর তৈরি রেমিডেসিভির ইনজেকশন দিলো বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশিধর মিশ্রের কাছে ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করেন। এসময় পররাষ্ট্র সচিব মোমেন বিন মান্নান এবং স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গঠিত ‘সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের’ আওতায় বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে নেপালের জনগণের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ বেক্সিমকোর তৈরি রেমিডেসিভির ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশের স্বার্থ চিন্তা করেই বাংলাদেশ কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ড. মোমেন বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ বাড়িয়ে বলেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, এখানে কারও হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরাই ঠিক করব, চীনা রাষ্ট্রদূত কী বললেন সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।

সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোয়াডে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘যথেষ্ট খারাপ’ করবে। এর আগে গত মাসের শেষ সপ্তাহে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি ঢাকা সফর করেন। সেই সময় কোয়াড, আইপিএস নিয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছিল চীন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ মাসে সার্ক নেতাদের অংশগ্রহণে একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল’ গঠন করা হয়, যা নিজ নিজ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।