বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাহিরের ক্রিকেটারদে নিয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ এ’ দলের খেলোয়ারদেরকে সঠিক পরিচর্জার বিষয়ে উদাসীন থাকায় ফর্মহীন ২২ গজের মাঠের ক্রিকেটে খেলোয়ারের অভাব পূরণ করতে পারেনি বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য ওপেনিং কিংবা মিডল অর্ডারে অনেককে বার বার সুযোগ দিলেও পঞ্চ পান্ডব ছাড়া নতুন কেউ পরিক্ষীত নিতে পারেনি।
এবার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অভাব পূরণ করার জন্য জাতীয় দলের মতোই ‘বাংলাদেশ টাইগার্স’ নামে একটি নতুন ছায়া দল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিসিবির বোর্ড সভা শেষে গণমাধ্যমের সামনে এই ঘোষণা দেন বোর্ড প্রধান।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘শ্যাডো জাতীয় দল। জাতীয় দলে যারা ডাক পাবে না, তারা এই দলের হয়ে খেলবে”।
“জাতীয় দলের অনুশীলনের যে কোনও সুবিধা তারা পাবে। দলের বাইরে থেকে তারা কীভাবে নিজেদের তৈরি রাখবে, এই চিন্তা থেকে এই শ্যাডো জাতীয় দল তৈরি হয়েছে। এখানে হেড কোচের অধীনেই দেশীয় কোচরা সারা বছর এই ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করবেন।’
বিসিবির সভাপতি আরো বলেন, “জাতীয় দলে যারা খেলে, তারা যদি কোনও সিরিজে ডাক না পায়, তখন তারা অনুশীলন করার সুযোগ পায় না, আমাদের সুবিধাদি ব্যবহার করতে পারে না। এটা তো একটা বড় সমস্যা। ওরা কোথায় অনুশীলন করবে? ওদের কারও যদি কোনও ঘাটতি থাকে, কেউ যদি দল থেকে বাদ পড়ে তাহলে সে শিখবে কোথায়? আমরা ঠিক করেছি, সারা বছর আমাদের এখানে অনুশীলন চলবে।’
প্রধান কোচের নির্দেশনা মতে স্থানীয় কোচরা ছায়া দল পর্যবেক্ষণ করবেন। জাতীয় দলের কোনও পজিশনের ক্রিকেটারের সমস্যা হলে, ছায়া দল থেকেই সেইসাথে ঘাটতি মেটানো হবে। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের ইচ্ছা হচ্ছে, স্থানীয় কোচিং স্টাফ থাকবে। এক্ষেত্রে প্রধান কোচের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে। এখন যেটা হয়, ধরেন ওপেনিংয়ে একজন খেলোয়াড় নেই।
“সে খেলবে না অথবা ইনজুরি বা অন্য কোনও কারণে। তখন আমরা ট্রায়ালের মতো একেকদিন একেকজনকে চেষ্টা করি। আজকে একে করি, কালকে ওকে করি। আমাদের যদি খেলোয়াড় প্রস্তুত থাকতো, যদি জাতীয় দলে দরকার হয় কে যাবে… এভাবে এক নম্বর, তিন নম্বর, সাত নম্বর- পজিশন অনুযায়ী কোচ চাহিদার কথা বলে দিবে, সেই অনুযায়ী আমরা খেলোয়াড়দের সারা বছর অনুশীলন দেবো। যাতে জাতীয় দলের প্রয়োজনে সঙ্গে সঙ্গে বিকল্প হিসেবে চলে যেতে পারে”।