ন্যাটো কাহিনীর অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে অবস্থানরত যেসব তুর্কি সেনা রয়েছে এর বাহিরে আর কোন সেনা মোতায়ন করা হবেনা বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার। বুধবার এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। খবর ডেইলি সাবাহ’র।
হুলুসি আকার বলেন, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তুরস্কের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এজন্য দেশটিতে বাড়তি কোনো সেনা মোতায়েন করা হবে না।
গত ছয় বছর ধরে তুর্কি সেনারা ন্যাটোর অধীনে আফগান বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেছে বলেও জানান তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
আমেরিকার নেতৃত্বে ন্যাটো সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া শুরু করলে সেখানে থাকা বিদেশী মিশনগুলোতে চাকরি করা বিদেশিরা, তাদের পরিবার এবং ত্রাণ সংস্থার কর্মীদের যাতায়াতের নিরাপত্তার জন্য তুরস্কের কাছ থেকে কাবুল এয়ারপোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে চাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের আগেই আফগানিস্তানে টার্কিশ মিশন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বাইডেন-এরদোগান।
এদিকে ২০২০ সালের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তান থেকে তুরস্কের সেনাদের প্রত্যাহার করা উচিত বলে জানিয়ে দিয়েছে তালেবান।
মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্ক যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে গোষ্ঠীটি।
দোহাভিত্তিক তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন জানান, ২০ বছর ধরে তুরস্ক ন্যাটোর অংশ ছিল। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে তুরস্কের সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়তে হবে।
তিনি আরও বলেন, তুরস্ক একটি ইসলামী দেশ। তুরস্কের সঙ্গে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে যখন আমরা নতুন ইসলামী সরকার গঠন করব তখন তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও ভালো সম্পর্কের প্রত্যাশা করি।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুই দশক ধরে যুদ্ধপীড়িত দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রেরসহ সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। এরমধ্যে আফগানিস্তানের ব্যাপক অঞ্চল দখলে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি সেনা চলে গেলে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে নেবে।