করোনা: খুলনায় আরও ১১ জনের মৃত্যু

কোভিট-১৯ এর অদৃশ্য থাবায় একের পর এক স্বজন হারাচ্ছে পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে। এর ছোঁয়া দেশের বিভাগ গুলোতেও বেতিক্রম নয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে খুলনায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ডেডিকেটেড হাসপাতালে ছয়জন এবং গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন— খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকার আকলিমা (৩৫), সাতক্ষীরার তালার মো. সিফাতুল্লাহ্ (৮৫), খুলনার মৌলভীপাড়ার ফেরদৌসী ইসলাম (৫৮) ও নাইলী (৬৭), খুলনার ডুমুরিয়ার আম্বিয়া (৩৫) এবং বাগেরহাটের মোংলার প্রদীপ কুমার (৬৩)।

খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৩০ শয্যার হাসপাতালটিতে আজ সকাল পর্যন্ত ১৬৯ চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে রেড জোনে ৯৯, ইয়েলো জোনে ২৫, আইসিইউতে ১৯ জন এবং এইচডিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন; আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন।

অন্যদিকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তার হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯৮ রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন; সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন। আইসিইউতে রয়েছেন চারজন আর এইচডিইউতে আছেন ৯ জন।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন— বাগেরহাট সদরের লাউপোল এলাকার নারায়ণ (৭১), খুলনার বটিয়াঘাটার জেবুন্নেসা (৬৭), নড়াইল লোহাগড়ার কতাকল এলাকার আব্দুর রহমান (৬০), গোপালগঞ্জের আড়পাড়ার সুফিয়া বেগম (৪৫), খুলনার হরিণটানা এলাকার এমএ হাশেম (৬৮)।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, রোববার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার প্রায় ৪০ শতাংশ।

এর আগে শনিবার খুমেক ল্যাবে শনাক্তের হার ছিল ৫০ শতাংশ, শুক্রবার ৩৭.৯০, বৃহস্পতিবার ৫১.৫৫, বুধবার ৩৪, মঙ্গলবার ৪০ আর সোমবার ছিল ৩১ শতাংশ।

তিনি জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে রবিবার ৪৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৮৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ শনাক্ত হয়। যার মধ্যে খুলনার ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

এ ছাড়া বাগেরহাটে ৪০, যশোরে তিন, সাতক্ষীরায় তিন, নড়াইলে এক, পিরোজপুরের এক, গোপালগঞ্জে তিনজন ও ঢাকার একজনের করোনা শনাক্ত হয়।