বিচার বিভাগীয় কমিশন করে এক এগারোর কুশীলবদের বিচার করতে হবে: বাহাউদ্দিন নাছিম

২০০৭ সালে নামধারী তত্বাবধায়ক সরকার তথাকথিত সুশীল, তথাকথিত অর্থনীতিবিদ সহ লোভী ব্যক্তিদের নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো। তারা শেখ হাসিনাকে কারা অন্তরীন করেছিলো কারণ তিনি নির্বাচন চেয়েছিলেন, গণতন্ত্র চেয়েছিলেন। গন তদন্ত কমিশন করে, বিচার বিভাগীয় কমিশন করে সেই আদর্শহীন, লোভী, লুটেরাদের বিচার করতে হবে, বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

আজ ১৮ জুলাই রবিবার বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত শেখ হাসিনার কারান্তরীণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, তারা গণতন্ত্র অবরুদ্ধ করতে চেয়েছিলো, নির্বাচনী ব্যবস্থা ধংস করতে চেয়েছিলো। তারা রাজনীতিবিদদের রাজনীতি শেখাতে চেয়েছিলো। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো মাইনাস গণতন্ত্র, মাইনাস বঙ্গবন্ধু, মাইনাস মুক্তিযুদ্ধ, মাইনাস শেখ হাসিনা। হায়নার মতো, লুটেরাদের মতো তারা দেশে অপশাসনে লিপ্ত হয়েছিলো।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৭ সালে নামধারী তত্বাবধায়ক সরকারের অপশাসনের প্রতিবাদে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ গর্জে উঠেছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও সে সময়কার ছাত্রলীগকে আমি সালাম জানাই, স্যালিউট জানাই। সেদিন বিরাজনীকরণে জন্য আমাদের দলের কেউ কেউ জড়িত ছিলো। সংস্কারের নামে গ্রেফতারের রাস্তা তৈরি করেছিলো। লোভী, চক্রান্তকারী সেই রাজনীতিবিদদেরও চিনতে হবে।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ দেশ ও রাজনীতির প্রাণশক্তি। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েরা করোনা মহামারির সময় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। তারাই গুজবের বিরুদ্ধে, মামুনুল হক গংদের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে। নিজের আদর্শের জায়গায় শক্ত থাকবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। তিনি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা। তার নেতৃত্বেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।