করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নতুন করে আরও চিকিৎসক ও সমান সংখ্যক নার্স নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, দেশে ভােইরাস শনাক্তের পর থেকে রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা দিতে পূর্বের চিকিৎসা কর্মীরা ক্লান্ত। তাদের কাজ এবং নতুন রোগীদের সেবার ঘাটতি কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে চিকিৎসক ও নার্সরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছেন। এজন্য নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের এই প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শেষ করা হবে।’
এই নিয়োগের ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষা বাদ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনুরোধ করেছি ইন্টারভিউয়ের দরকার নাই, পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের দরকার নাই। তাড়াতাড়ি তাদের কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে জাহিদ মালেক জানান, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম আরও জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে টিকা নিতে অনীহা দেখা গেছে। কিন্তু যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন তাদের বেশিরভাগই বয়স্ক জনগোষ্ঠী। এ কারণে তাদের টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে। এই কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম আরও জোরদার করব।’
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারিকালে শুধু মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৪০৯ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেসথেশিওলজি) নিয়োগ দিতে গত জুন মাসে বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
এছাড়া করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে দুই হাজার সহকারী সার্জন নিয়োগ দিতে গত বছরের নভেম্বরে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। পরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মহামারির মধ্যে প্রথম কোনো বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বসেছিল ২৭ হাজার ৫৭৩ জন সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী।
গত ৬ জুন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬ হাজার ২২ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ২২ জুন সেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।