অসিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে স্বপ্নের জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের দল।
বাংলাদেশের রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই তিন টপ অর্ডারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। কিন্তু তাঁকে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি নাসুম আহমেদ। অসি অধিনায়ককে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানায় সে। এর আগে ওপেনার জশ ফিলিপকেও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নাসুম।
আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে বেশি রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। মন্থর উইকেটে রান তুলেছে কেবল ১৩১। এই রান তাড়া করতে নেমেই শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এরপর হারিয়ে ফেলে আরেকটি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার তিন উইকেট তুলে নিয়ে বোলিংয়ে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। শুরুতে উইকেট তিনটি নেন মেহেদী হাসান, সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৩১ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হতাশ করেন বাংলাদেশের ওপেনার সৌম্য সরকার। তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁর ব্যাটিং নিয়েই আশায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই সৌম্য পারলেন না দায়িত্ব নিতে।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জশ হেইজেলুডের করা বল জায়গা এনে টাইমিং ঠিক করতে চেয়েছিলেন সৌম্য। মূলত স্টাম্প ঘেসে পাঠাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল লেগে যায় স্টাম্পে। ৯ বলে দুই রান করে ফিরে যান সৌম্য। ১৫ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
তবে সৌম্য ফিরলেও বাংলাদেশকে কিছুটা ভালো শুরু এনে দেন আরেক ওপেনার নাইম। মিচেল স্টার্কের বলে ছক্কা মারা নাঈমকে শুরু থেকে আত্মবিশ্বাসী দেখা গিয়েছিল। মিচেল স্টার্কের দ্বিতীয় স্পেলের বলও গ্যালারিতে পাঠান নাঈম। ওই বলটি ছক্কা হাঁকিয়ে গ্যালারিতে গেলে বলটি আর ফিরিয়ে আনা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী চতুর্থ আম্পায়ার মাঠে নতুন বল নিয়ে যান।
পাওয়ার প্লেতে শুধুমাত্র নাঈমের ব্যাটেই কিছু রান পায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া পাওয়ার প্লেতে ৩৬ বলের মধ্যে ২২ বলই ছিল ডট। ভালো ছন্দে ছোটা নাঈম ব্যর্থ হলেন ষষ্ঠ ওভারে। অ্যাডাম জাম্পার বলে বাজে শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান নাঈম। জাম্পার বলে রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন নাঈম। ব্যাটে-বলে টাইমিং ঠিক রাখতে পারেননি। বল লেগে যায় স্টাম্পে। ৩০ রানে আউট হয়ে ফেরেন নাঈম।
নাঈমকে হারানোর ধাক্কা মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহও। হেইজেলউডের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো কিছুর আভাস দেওয়া মাহমুদউল্লাহ ফিরেন পরের বলেই। মিড অফ থেকে তাঁর ক্যাচটি নেন হেনরিকস। ৩৬ রানে ভাঙে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর জুটি। ২০ বলে এক ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর উইকেটে এসে ফিরে যান নুরুল হাসান সোহান। ১৫.৩ ওভারে তাঁকে শিকার বানান অ্যান্ডু টাই। ৪ বলে ৩ করেন নুরুল।
লম্বা সময় উইকেটে থেকে রানের গতি বাড়াতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। ১৭ তম ওভারে সাকিবকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান হেইজেলউড। তিন বাউন্ডারিতে ৩৩ বলে ৩৬ রান করেন সাকিব।
জিম্বাবুয়েতে অভিষেক সিরিজে সাড়া জাগানো শামীমকে ৪ রানে বোল্ড করেন স্টার্ক। এরপর শেষের দিকে আফিফের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ১৩১ রানে থামে বাংলাদেশ। ১৭ বলে ২৩ রান করেন আফিফ।