টোকিও অলিম্পিকে চীর প্রতিধ্বনন্ধি স্পেনকে হারিয়ে স্বর্ণ জয় করলো ব্রাজিল। স্প্যানিশদের ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফুটবলে স্বর্ণ জিতলো ব্রাজিল। কোপা আমেরিকা জিততে না পারলেও অলিম্পিক সাফল্য দিয়ে কিছুটা হলেও বেদনা ভুলতে পেরেছেন ব্রাজিলিয়ানরা।
শনিবার (৭ আগস্ট) নিশান স্টেডিয়ামে ম্যাথিয়াস কুনহার গোলে ব্রাজিল প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকে। বিরতির পর স্পেনও কম যায়নি। গোল শোধে মরিয়া হয়ে সফলও হয়েছে। ওয়ারজাবাল ম্যাচে সমতা ফেরান। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের ম্যাচে স্কোরলাইন থাকে ১-১। অতিরিক্ত সময়ে এসে বদলি ম্যালকম হলেন ত্রাতা। তারই দেওয়া গোলে জয়ের ভেলাতে পৌঁছে যায় ব্রাজিল।
১০৮ মিনিটে ম্যালকম বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে টপকে গোলকিপার উনাই সিমনের পাশ দিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। অ্যাসিস্ট অ্যান্থনির।
সদ্য বিদায় ইউরো ও কোপা আমেরিকা দলে থাকা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়ে অলিম্পিকে এসেছে দুই দল। অলিম্পিকে সাধারণত ফেবারিটরা হোঁচট খায়। কিন্তু এবার সে সব শঙ্কা উড়িয়ে ঠিকই ফাইনালে উঠে গিয়েছিল স্পেন ও ব্রাজিল। ফাইনালের আগে কাউকে এগিয়ে রাখা যাচ্ছিল না।
ম্যাথিয়াস কুনিয়াকে ফাউল করে বসেন সিমোন, পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। কিন্তু এভারটন ফরোয়ার্ডের জোরালো শট আর ঠেকাতে হয়নি সিমোনকে। বারের বেশ ওপর দিয়ে গেছে রিচার্লিসনের পেনাল্টি। যোগ করা সময়ে কুনিয়া তাই নিজেই বুঝে নিলেন দায়িত্ব। স্পেন জাতীয় দলে খেলা পাউ তোরেসের ভুলের সুযোগ নিয়ে দুর্বল এক শট নিয়েছিলেন, সেটাই ব্রাজিলকে এগিয়ে দিতে যথেষ্ট ছিল।৫১ মিনিটে ক্রসবারে বল লাগান রিচার্লিসন। স্পেন এরপর খেলায় ফেরে। টানা কিছুক্ষণ ভালো খেলার ফল পেয়েছে ৬১ মিনিটে। অস্কার গিলের ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন রিয়াল সোসিয়েদাদের স্ট্রাইকার আরেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় মিকেল ওইয়ারসাবাল।