
উপরের অংশ যতটা সবুজ ভেতরটা তার থেকেও বহুগুন জাঝালো। গুণাগুণ এর সাথে এবার বাজারে মূল্যও তেমনটাই জাঝালো। চাষিরা অনেকেই বলছে টানা বর্ষণের ফলে গোড়ালিতে পচন ধরে প্রায় সব গাছ মরে যাওয়ায় কাচা বাজারে যোগান কম হওয়ায় দাম ঊর্ধ্বগতির হয়েছে।
বাজারে গিয়ে দেখা যায় মরিচের গায়ে প্রায় জ্বরের অবস্থা। কিছুদিন আগেও খুচরো বাজারে এর এক কিলোর দাম ছিলো ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মরিচের গাছ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এক লাফে কেজি দরে ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজির মূল্য দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা।
রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে এমনটি দেখা গেছে।
মাঠ পর্যায়ের মরিচচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় মরিচ চাষ ভালো হয়নি। চাষিরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। ইতিপূর্বে অধিকাংশ মরিচগাছের গোড়া পচে মরে যাচ্ছে। দাম বেশি হলেও খরচের টাকা উঠছে না।
শনিবার পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয় সাড়ে ৭ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকায়। দাম বেশি হলেও এলাকায় মরিচ তুলনামূলক কম। এবার চাষিরা আশায় ছিল ভালো ফলন হবে। কিন্তু সে আশা আর পূরণ হচ্ছে না।
গত মৌসুমে প্রতিদিন আড়ানী বাজারের তালতলা মোড়ে ৮০০ মণ থেকে এক হাজার মণ মরিচ আমদানি হতো। এবার তা নেই।
এ বিষয়ে হাটে সবজি ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, বর্তমানে এ এলাকায় মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তাহেরপুর, শিবপুর, ঝলমলিয়াসহ বিভিন্ন হাট থেকে মরিচ কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা নদীর শাখা বড়াল নদীর ধারে হওয়ায় মরিচ আবাদ ভালো হয়। মরিচে ছত্রাক জনিত কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় প্রায় ১১৬ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।








