কে থামায় ওদের? চোখ রাঙ্গিয়ে জবাব দেওয়ার সমর্থের পুরোটাই যে আছে বাঘেদের। সিনিয়রদের বল-ব্যাটের আছে দারুণ যোগাযোগ। জুনিয়ররা তাহলে থাকবে কেন পিছিয়ে? হোক সেটি অস্ট্রেলিয়া কিংবা ভারত। এই সেদিন আকাশীদের মুখ থেকে ছিনিয়ে এনেছে যুবারা বিশ্বকাপ। তাদের সাথেই-ত ছিলো দমদমা বাজানোর এক নায়ক। যার নাম শরীফুল ইসলাম।
ঘরের মাঠে অজিদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতে তরুণ তুর্কীকে ক্ষেপানেfর জবাবটা উইকেট নিয়ে অজি ক্রিকেটার মিচেল মার্শকে। তবে সব উদযাপন নিজের হয়না। কিছু কিছু উদযাপন অন্যের জন্য হয়ে থাকে। তার জবাব হিসেবে টাইগার দলের তরুণ পেসার স্বয়ং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তিরস্কারের মুখোমুখি হয়েছে।
ম্যাচে মিচেল মার্শকে আউট করার পর আগ্রাসী উদযাপন করেছেন। চোখ রাঙানি দিয়েছেন মার্শকে। বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নেয়নি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
শরিফুলকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কৃত করেছে আইসিসি। পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে তাকে। এই ডিমেরিট পয়েন্ট বহাল থাকবে ২৪ মাস।
আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের আর্টিক্যাল ২.৫ অনুচ্ছেদের আইন ভঙ্গ করায় এ শাস্তি মিলেছে শরিফুলের।
শুক্রবার বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের ম্যাচে দশম ওভারে শরিফুলকে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান মার্শ। পঞ্চম বলটি মিস করেন মার্শ, লেগে যায় তার ঊরুতে। মেজাজ বিগড়ে যায় মার্শের। মার্শের স্লেজিংয়ের শিকার হন শরিফুল। অসি ব্যাটসম্যান যেন কি একটা বলে শরিফুলকে খেপানোর চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।
ওই সময় শরিফুল তেড়ে গেলেও কোনো বাক্য উচ্চারণ করেননি শরিফুল। তার পক্ষে মার্শকে দুই-একটা কথা শুনিয়ে দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের বল ডট করেও উত্তেজিত শরীরী ভাষা দেখান শরিফুল।
পরে ইনিংসের ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মার্শকে আউট করেন শরিফুল। তখনই উদ্যাম উদযাপনে মাতেন তিনি। সাজঘরের দিকে হাঁটা ধরা মার্শের কাছে গিয়ে চোখ রাঙানি দেন শরিফুল।
ক্রিকেটীয় পরিভাষায় যাকে বলে সেন্ড অফ। আর এটি ছিল লেভেল-১ অপরাধ।
শরিফুল নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি। ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুলের দেওয়া শাস্তিই বহাল থেকেছে। লেভেল-১ অপরাধে সর্বনিম্ন তিরস্কার এবং সর্বোচ্চ ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও এক বা দুই ডিমেরিট পয়েন্টের বিধান রয়েছে।