তালেবানের আফগান দখল ঠেকাতে দেশটির সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জোড় অভিযানে অন্তত দু’শ তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি করে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তালেবানের অবস্থান লক্ষ করে যুক্ত রাষ্ট্রের বি-৫২ বোমারু বিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার রাতে তালেবান অবস্থানগুলোতে এসব হামলা চালানো হয়। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ফাওয়াদ আমান টুইট করে বলেন, সেবারঘানে তালেবান যোদ্ধাদের জমায়েত ও গোপন আস্তানা লক্ষ্য করে বিমানবাহিনী হামলা চালায়। এ হামলায় ২০০ জনের বেশি তালেবান নিহত হয়। এতে তালেবানের বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও যানবাহন ধ্বংস হয়েছে
কাতারের মার্কিনঘাঁটি থেকে উড়ে এসে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম মার্কিন বি-৫২ বোমরু বিমান ইরান সীমান্তের কাছে নিমরোজ প্রদেশের জারাঞ্জ শহরে বোমাবর্ষণ করে।
শনিবারই দুপুরে তালেবানের হাতে প্রদেশের ওই কেন্দ্রীয় শহরটির পতন হয়।
মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনী-সেন্টকমের মুখপাত্র কর্নেল নিকোল ফ্রেরা বলেছেন, মার্কিন সেনারা গত কয়েক দিনে তাদের আফগান শরিকদের সমর্থনে কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে।
তালেবান অস্ত্রধারীরা যখন শহরে আফগান সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করছিল, তখন তাদের ওপর হামলা চালানো হয় এবং এতে প্রায় ১০০ তালেবান নিহত হন বলে দাবি করেছে আফগান কর্তৃপক্ষ।
তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, নিমরোজ প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান বাবর ইশচি এবং তার ছেলে আহমদ ইশচি তাদের ২০ সহযোগীসহ তালেবানে যোগ দিয়েছেন।
তবে আফগান সংসদ সদস্য হালিমা সাদাফ তালেবানের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন।
এদিকে আফগানিস্তানের আরও বহু এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তুমুল লড়াই চলছে।
২০০১ সালে ইঙ্গো-মার্কিন হামলায় তালেবানের পতনের সময় আফগানিস্তানের জনগণ মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমানের সঙ্গে পরিচিত হয়।
ইরাকের সাদ্দাম সরকারের পতন এবং আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতন ঘটাতে এই বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। ভিয়েতনাম যুদ্ধেও আমেরিকা এ বিমান ব্যবহার করে।