ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাতে জানা যায়, বিবৃতিতে বারাদার বলেন, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে চায় না। তালেবান মনে করে, আফগানিস্তানের সকল শ্রেণির মানুষ আইনের দৃষ্টিতে সমান।
তিনি বলেন, ইসলামি অনুশাসনের আওতায় সকল আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি, মানবাধিকার, সংখ্যালঘুদের অধিকার, নারী অধিকার এবং বাক স্বাধীনতার প্রতি তালেবান সম্মান প্রদর্শন করে। এছাড়া, তালেবান নারীর শিক্ষা, চাকুরি, সম্পদের মালিকানা ও ব্যবসা করার অধিকার প্রদান করবে। আর এসব হবে ইসলামি আইন ও জাতীয় স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে।
তালেবানের উপ প্রধান আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সেদেশের সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকার সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি তালেবান মেনে চলছে না বলে যে অভিযোগ রয়েছে সে সম্পর্কে মোল্লা বারাদার বলেন, দোহা চুক্তির ধারাগুলো এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। আফগানিস্তান থেকে নির্ধারিত সময়ে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হয়নি, সকল তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়নি এবং আমেরিকার কালো তালিকা থেকে তালেবান নেতাদের দাম বাদ দেয়া হয়নি। দোহা চুক্তির প্রতি সম্মান জানিয়ে এসব ধারা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তালেবানের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা।