প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ হাসপাতালে ভর্তি

যার ছোঁয়াতে শব্দ ফিরে পায় প্রাণ, বেজে উঠে যুবক যুবতীদের গান। যার কথায় শহর জুড়ে হয় আহবানের মিছিল তিনিই পাঠকদের মাঝে একজন নন্দিত কবি হেলাল হাফিজ। বরেণ্য এ লেখব ও সাংবাদিক অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ বিয়ে করেননি। থাকতেন শাহবাগের একটি আবাসিক হোটেলে। বেশ কিছুদিন
ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানাবিধ জটিলতায় ভুগছিলেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে ভর্তি করা হয়। কবির চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন সেনাবাহিনীর মেজর ডা. আশেকুজ্জামান।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৭২ বছর বয়স্ক হেলাল হাফিজের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। বুধবার থেকে তার মেডিকেল চেকআপ শুরু হবে। আমরা তার সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।

হেলাল হাফিজের জন্ম নেত্রকোনায় ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ যে জলে আগুন জ্বলে ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বইটির বৈধ মুদ্রণই হয়েছে ৩৩ বারের বেশি। হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদনা বিভাগে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।

‘আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি/ নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে/পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়?/এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,/এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে!’। ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।’ ‘তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো?/পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো।’- ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্য গ্রন্থের প্রস্থান, নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় এবং অমীমাংসিত সন্ধি কবিতার এই লাইনগুলো এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

কবির অপর কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ সালে।