বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সব থেকে সোনালি সময় পার করছে মাহমুদ উল্লাহ, সাকিব, তামিম, মুশফিকরা। তাদের সাথে নতুনদের বুঝাপড়া বেশ ভালো একটি শক্তিতে রূপান্তরিত টাইগার একাদশ। তবে বিশ্ব টি-টোয়েন্টির মূল আসরে খেলতে হলে উতরাতে হবে প্রথম রাউন্ড।
মঙ্গলবারের প্রকাশিত আইসিসির বিশ্বকাপ সূচি অনুযায়ী আসছে টি-টোয়ান্টির বিশ্ব আসর বসছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এদিন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ নিজ দলের প্রতি বেশ আশাবাদ প্রকাশ করের আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বললেন।
“আমাদের শক্তির জায়গা দলের অলরাউন্ডাররা এবং বোলিং বিভাগ। পাশাপাশি আমাদের ব্যাটিংও ভালো এবং দলের ব্যালান্স দারুণ। পাঁচ-ছয়জন অলরাউন্ডার আছে আমাদের, যারা ব্যাট-বল দুটিতেই অবদান রাখতে পারে।”
“এই মুহূর্তে আমাদের ফাস্ট বোলাররা অবিশ্বাস্য পারফর্ম করছে। স্পিন তো বরাবরই আমাদের শক্তি। তারা যদি কয়েকটি ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে পারে, আশা করি আমরা ভালো কিছু ফল পাব।”
দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের দারুণ সমন্বয় আশাবাদী করে তুলছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
“সাকিব এক নম্বর অলরাউন্ডার এবং আমাদের দলের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমানও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, নুরুল হাসানের মতো অন্যরাও নিজের জন্য ও দলের জন্য ভালো করতে মুখিয়ে আছে এবং এই তরুণরা নজর কাড়ার মতো।”
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ও রেকর্ড খুব সমৃদ্ধ না হলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে মিলছে আশার ছবি। জিম্বাবুয়েতে সিরিজ জয় করে আসার পর দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে সম্প্রতি ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছে তারা। আগামী মাসের শুরুতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আছে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে।
মাহমুদউল্লাহর মতে, এই সিরিজগুলোর সাফল্য বিশ্বকাপে দলের জন্য হতে পারে সঞ্জীবনী সুধা।
“এই টুর্নামেন্ট সব দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে আমাদের জন্য। বিশ্বকাপের আগে আমরা কয়েকটি সিরিজ খেলছি। যদি আমরা এসব সিরিজে ভালো করতে পারি, আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারি, সিরিজগুলো জিতে বিশ্বকাপে যেতে পারি, আমাদের দলের জন্য তা হবে দারুণ প্রেরণার।”
বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে দুই গ্রুপের মধ্যে তুলনামূলক সহজ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওমান, স্কটল্যান্ড ও পাপুয়া নিউ গিনি। ‘এ’ গ্রুপে আছে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও নামিবিয়া। তবে মাহমুদউল্লাহর মতে, বিশ্বকাপের মতো আসরে সহজ ম্যাচ বলে কিছু নেই।
“টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। যার সঙ্গে খেলা হোক, একদম প্রথম বল থেকেই সেরাটা খেলতে হবে, সম্ভব সেরা মানসিক অবস্থায় থাকতে হবে এবং দলীয় প্রক্রিয়ায় পূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখতে হবে যেন প্রতিটি ম্যাচ জেতা যায়।”
আগামী ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। প্রথম রাউন্ডে এই গ্রুপের সব ম্যাচ ওমানে।