বেতনভুক্ত সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী: হুইপ স্বপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি জনগণের দয়ায় নির্বাচিত হন এবং সরকারি কর্মচারীগণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োজিত হন। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারী উভয়েই সংবিধানে বর্ণিত আইন ও আইনের আলোকে প্রণীত বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। এজন্য উভয়েই কাজের বিনিময়ে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন, ভাতাদি ও বিধিসম্মত সুবিধা প্রাপ্ত হন। কোন জনপ্রতিনিধি বা কর্মচারী কেউই জমিদার, শাসক, এলাকা পিতা, স্যার, লর্ড বা প্রভু-তুল্য নন।

আজ (শনিবার) সকালে অনুষ্ঠিত কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতির জনক প্রণীত সংবিধানের কোথাও কর্মকর্তা বা লর্ডের অস্তিত্ব নেই উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, বেতনভুক্ত সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে জনগণের সেবক মনে করেন এবং জনগণকে প্রাপ্য সম্মান দিয়ে আসছেন। সেখানে তাঁর অধীনে কাজ করা আমরা কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারী প্রায় সেবকের পরিবর্তে লর্ডশীপ ফলাতে চাই এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে সুশাসন বহত করি। দেশের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সবার অবস্থান নিশ্চিত করেছে এবং আইন ও বিধি সকলের কার্যপরিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। উন্নয়ন, মানব কল্যাণের পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং অযথা বাহারি আচরণ ও জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টিকারী মোটর শোভাযাত্রা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন করার মানসিকতা পরিত্যাগ করে জাতির জনক নির্দেশিত পথে জনগণের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে প্রভুতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অহমিকা দুঃস্বপ্ন থেকে যাবে। প্রভুতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দুঃস্বপ্ন জাতির জনকের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট এডভোকেট ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সঞ্চালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাইমুম সারোয়ার কমল এমপি,ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রতন, কানিজ ফাতেমা এমপি, অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, মোস্তাক আহমেদ, রেজাউল করিম সহ জেলা, উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ।

সভায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল উপজেলা ও ইউনিয়নে কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত করা, উপজেলা ভিত্তিক সাংগঠনিক টিম গঠন, আগামী নয় অক্টোবর তৃণমূল প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত করা, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।