১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিনষ্ট করে হত্যা গুম খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠা জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠ, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত আলোচনা সভা ও প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে যখন কাজ শুরু করেছিলেন তখন ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু রেখে যাওয়া স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি সন্ত্রাস নির্মূল করেছেন। নিজের জীবন বাজি রেখে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ দেশে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও দেশবাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন ডাক দিয়েছে আগামী মাসে তারা আন্দোলন করবে। তাই তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য সকল নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। যেকোনো মূল্য বিএনপি জামায়াতকে প্রতিরোধ করা হবে। আগস্ট মাসে দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় এটাই হোক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শপথ।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে গান পাউডার দিয়ে বাসে আগুন দেবেন মেট্রো রেলে আগুন দেবেন আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকবে না সেটা আর ভেবেন না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে বিএনপিকে পাড়ায়-মহল্লায় ওয়ার্ড থানায় কোথাও অবস্থান করতে দেব না। আন্দোলনের নামে কোনো রকম আগুন সন্ত্রাস জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষকে হত্যা করা হয় তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর থেকে বের হতে দেবে না।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, জিয়া রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত না থাকে তাহলে কেন হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছে, বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে, বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। কেন ইনডিমিনিটি জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার রুদ্ধ করা হয়েছিল। জিয়া রহমানই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল পৃষ্ঠপোষক পরিকল্পনাকারী।
জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট ছিল। ১৯৭১সালে ২৯মে কর্নেল বেগ পাকিস্তানের আর্মি জিয়াউর রহমানকে চিঠি লিখেছিল তোমার স্ত্রী পুত্র ভালো আছে, তোমার কর্মকাণ্ডে আমরা সন্তুষ্ট। তুমি বেশি সতর্ক থাকবা মেজর জলিলদের কাছে থেকে ।
সে সময় জিয়াউর রহমানের উপর তাদের নির্দেশনা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার মাজারে কোনো লাশ নেই পারলে প্রমাণ করে দেখান জিয়ার মাজারে লাশ আছে। কফিনে লাশ থাকলে কেনো তার লাশটা তার স্ত্রী ও ছেলে সন্তানদেরকে ও দেখানো হয়নি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতুল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা ১৮ আসনের সাংসদ হাবিব হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানাসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতাকর্মী।