বেশ কয়েকদিনের আলোচনা শেষে নতুন রাষ্ট্রপ্রধানের নাম ঘোষণা করলো আফগানিস্তানের সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী তালেবান। মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে মনোনীত করেছে তারা।
তালেবানের জ্যেষ্ঠ এক নেতা দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে বলেছেন, আমিরুল মুমিনিন শেখ হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে রাঈস-ই-জামহুর অথবা রাঈস-উল-ওয়াজারা অথবা আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রস্তাব করেছেন।
দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি আরো জানায়, তালেবানের নেতারা বলেছেন, আগামীকাল বুধবার নতুন সরকার ঘোষণা করা হতে পারে অথবা আরও কয়েক দিনের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে।
এছাড়া মোল্লা বারাদার আখুন্দ এবং মোল্লা আব্দুস সালাম তার ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন। এছাড়াও তালেবানের তিনজন নেতা মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
তালেবান বলেছে, একইভাবে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রবীণ আরেকজন নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর গভর্নর মনোনয়ন দেওয়ার কর্তৃত্বও পেয়েছেন; যেখান থেকে হাক্কানি নেটওয়ার্কের উত্থান ঘটেছিল। এসব প্রদেশের মধ্যে আছে, পাকতিয়া, পাকতিকা, খোস্ত, গার্দেজ, নানগরহার এবং কুনার।
মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ বর্তমানে তালেবানের শক্তিশালী সিদ্ধান্ত-গ্রহণকারী পরিষদ রেহবারি শুরা বা নীতি-নির্ধারণী পরিষদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তালেবানের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত কান্দাহারে জন্ম তার। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন তিনি।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার ও কাবুলে তালেবান সরকারের পতনের পরে পাকিস্তানের বালুচিস্তানে গঠিত তালেবান ‘কোয়েটা সুরা’র নেতৃত্বে ছিলেন আখুন্দ। বারাদারের মতোই তাকেও ২০১০ সালে পাকিস্তান প্রশাসন গ্রেফতার করেছিল। পরবর্তীতে মুক্তি পান তিনি। প্রায় দু’দশক ধরে আখুন্দজাদার ঘনিষ্ঠতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত আখুন্দ তালিবানের শান্তি আলোচনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘রেহবারি সুরা’রও প্রধান ছিলেন।