করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই ফের বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাতক এ ভাইরাসে ৯ হাজার ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৫ লাখ ২৬ হাজার ৯২৯ জনের।
এর আগের দিনে ৮ হাজার ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল ও আক্রান্ত হয়েছিল ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজারের বেশি এবং নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭৫ হাজার।
করোনাবিষয়ক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু বেড়ে ৪৭ লাখ ৩২ হাজার ৬৬৯ জনে এবং শনাক্ত ২৩ কোটি আট লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৭৫ লাখ ৬১ হাজার ৮২৮ জন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৩৪ লাখ চার হাজার ৮৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫৪ জন।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় চার লাখ ৪৬ হাজার ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে করোনা করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৪ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ২৮ লাখ আট হাজার ১৭৫ জন।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে দুই কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬৭ জনের করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৩৫৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি দুই লাখ ৯৫ হাজার ৫৩৮ জন।
এদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৮১৭ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৭০৬ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬২৫ জনের।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৮ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৩১৩ জন। আর ১৫ লাখ ৬ হাজার ১৩৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর একই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।