নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে না। বাংলাদেশ নামে এ দেশ সৃষ্টি হতে না। অর্থাৎ জাতির পিতা মানেই বাংলাদেশ।
রোববার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘মানবতার আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দুঃস্থদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রিকশা -ভ্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটি।
আব্দুর রহমান বলেন,বঙ্গবন্ধু না হলে এই দেশ স্বাধীন হতো না। বাংলাদেশ নামে এ দেশের সৃষ্টি হতে না। আবার তিনি জাতির পিতা হতে পারতেন না, যদি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তার পাশে না থাকতেন। যা কিছু দেশের জন্য কল্যাণকর তা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু জিয়াউর রহমান তা গলা টিপে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাব ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন,সামাজিক নিরাপত্তায় এমনভাবে বলয় সৃষ্টি করেছেন যা আজ সারাবিশ্বে দৃষ্টি কাড়ে। শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান করছেন এবং বাংলাদেশের সকল অসহায়, গরিব মানুষের জন্য বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অনেক কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে।
জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, এরশাদ, জামাত-শিবির শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে ২০০৪ সালের ২১আগস্ট শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে সেদিন শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জীবন থাকতে শেখ হাসিনার ক্ষতি হবে না। শেখ হাসিনাই আমাদের প্রেরণা আমাদের শক্তি । তিনি আল্লাহর রহমতে যতদিন বেঁচে আছেন জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ততদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন,শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশে পেরিয়ে বিশ্বের নেত্রী। তিনি বিশ্বের একজন সৎ প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা হলো মহামানব, তার কোনো ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নেই। তিনি শুধু মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। শেখ হাসিনা অতি সাধারণ জীবন যাপন করেন তার কোনো ভোগ-বিলাসিতা নেই। শেখ হাসিনার প্রতি বঙ্গবন্ধুর ও দেশের মানুষের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা আছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের, বিশেষ অতিথি হিসেবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজসহ অনেকেই। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।