বিএনপির গণজোয়ারকে ভয় পেয়ে সরকার পুলিশবাহীনি দিয়ে ঘরে ঘরে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জনসমর্থনে সরকারে ‘হৃদকম্পন’ শুরু হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের তত্ত্বাবধায়নে বিএনপিকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, এখনো ঘরে ঘরে গিয়ে পুলিশি আক্রমণ চলছে, হয়রানি হচ্ছে, তল্লাশি চলছে। কেন, কারণ কী? কারণ বিএনপি জেগে উঠছে। আজকে এই যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের তত্ত্বাবধায়নে নতুন করে বিএনপিকে সাজানো হচ্ছে, কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এতে করে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে।
‘আর সেই জন্যেই আজকে তাদের (সরকার) হৃদকম্প শুরু হয়েছে। তারা ভয় পেয়েছে, কাঁপছে। এজন্য তারা বিএনপির ওপরে চড়াও হয়ে আক্রমণ করছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই, পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচার, কোনো একনায়ক, কোনো ফ্যাসীবাদী শাসক বা কোনো অত্যাচারী শাসক কোনোদিনই টিকে থাকতে পারেনি। জনতার উত্তাল রোষের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তখন আর তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় না।’
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে, আপনারা দেওয়ালের লিখনগুলো পড়ুন, মানুষের চোখের ভাষা দেখুন, মানুষের মনের কথা বুঝার চেষ্টা করুন। এখনো সময় আছে, পদত্যাগ করুন আপনাদের ব্যর্থতার জন্য, পদত্যাগ করুন আপনারা যে অপরাধ করেছেন সংবিধানকে লঙ্ঘন করে জনগণের ভোটের অধিকারকে বন্ধ করে দিয়ে, আগের রাত্রে ভোট নিয়ে চুরি করে আপনারা যে অপরাধ করেছেন, সেখানে থেকে যদি রক্ষা পেতে চান অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণ যাতে তাদের পছন্দ মতো সরকার নির্বাচন করতে পারে- সেই ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কথা একটাই- এখন সময় এসেছে উঠে দাঁড়াবার। এখন সময় এসেছে এই সরকারকে পরিষ্কার করে বলে দেওয়ার যে, তোমাকে আমরা চাই না। এখন বিদায় নিতে হবে এবং নির্বাচন দিয়ে দিতে হবে। জনগণের নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় জনগণই তোমাকে সরতে বাধ্য করবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে করোনা ও ডেঙ্গি হেলপ সেন্টারের কার্য্ক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব এই কার্য্ক্রমের উদ্বোধন করেন।