ইকুয়েডরে কারগারের মধ্যে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটির কারা ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা।
মঙ্গলবারের (২৮ সেপ্টেম্বর) ওই সহিংসতায় পাঁচজনকে শিরশ্ছেদ ও অন্যদের গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর রাজ্যটির গভর্নর পাবল আরোসেমেনা আইন ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার জেনারেল ফাউসতো বুউনানো বলেছেন, কারাবন্দিদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হতাহতের গ্রেনেডও ছুড়ে মারা হয়েছিল।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো এক টুইট বার্তায় এই ধরনের ঘটনার যেন পুনরার্বৃত্তি না ঘটে সে জন্য তাগিদ দিয়েছেন।
গুয়াকুইলের ওই কারাগার নিয়ন্ত্রণ আনতে এরইমধ্যে ৪০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারাবন্দিদের অধিকাংশই বৈশ্বিক মাদক ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকান মাদক চালানের এ বড় ক্ষেত্র হচ্ছে ইকুয়েডর। গত জুলাইয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট লাসো বলেছেন, ইকুয়েডরের কারাগারে ধারণক্ষমতা ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এ সহিংসতা লস লোবোস এবং লস চোনেরোস কারাগারের গ্যাংয়ের মধ্যে বিরোধের কারণে ঘটেছে। সহিংসতায় গুলি, ছুরি ও বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে এ কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল।
ইকুয়েডরের কারা বন্দিদের সঙ্গে মেক্সিকোর ড্রাগ গ্যাংগুলোর মধ্যে তীব্র বিরোধ রয়েছে। গুয়াকুইল, ইউয়েডরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। নগরটিতে আমেরিকান কোকেইনের বিশাল বাণিজ্য রয়েছে।
দু’সপ্তাহ আগে গুয়েকুইল কারাগারে চারজন ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। ২০২০ সালে দেশটিতে ১০৩ কারাবন্দিকে হত্যা করা হয়েছিল।
দেশটির কারাগারে ৩৯ হাজার কারাবন্দি আছে। চলতি বছর জুলাইয়ে দুটি কারাগারে দাঙ্গায় ২৭ জনকে হত্যা করা হয়েছিল।