প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্য অপচয়রোধে সবার নজর দিতে হবে। সারাবিশ্বে খাদ্যের অভাব আছে। আবার খাদ্যের অপচয়ও হয়। সেজন্য উদ্বৃত্ত খাদ্য কাজে লাগানোরও পথ বের করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার (১৬ অক্টোবর) ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেরা খাদ্য উৎপাদন করে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি করবো। অর্থ উপার্জন করবো। এটা আমরা পারি, পারবো। উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্যের মানও ঠিক রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সার-বীজ কৃষকের হাতের নাগালে পৌঁছে দিয়েছি। অথচ এ সার চাইতে গিয়ে আন্দোলন করায় ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে খালেদা জিয়ার সরকার। বিদ্যুৎ চাওয়ায় নয়জনকে হত্যা করা হয়।’
সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যের চাহিদা পূরণে বিনা পয়সায় খাবার বিতরণ করছি। ১০ টাকায় চালের ব্যবস্থা করেছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে সহায়তা করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ মঙ্গামুক্ত থাকবে। বাংলাদেশে আর কেউ যেন দুষ্কর্ম করে দুর্ভিক্ষ তৈরি করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করবো ‘
বিরি ১০০ ধান উদ্ভাবকদের বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ কৃষিবিজ্ঞানী আমাদের দেশে আছে। তাদের গবেষণা সাফল্য অর্জন করেছে। আমি কৃষি গবেষক ও কৃষিবিদদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।