রেলের ইতিহাসে এই প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’ নির্মাণ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ এ জাদুঘর এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। একটি ব্রডগেজ ও একটি মিটারগেজ কোচে জাদুঘরটি সাজানো হয়েছে।
১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রামী ইতিহাস অত্যাধুনিক ডিজিটাল স্ক্রিনে ফুটে উঠবে।
ট্রেনযাত্রী কিংবা সাধারণ দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জাদুঘরে উঠানামার সহজ পথ এবং টাচ স্ক্রিন থাকছে সারি সারি।
তাতে আঙুল স্পর্শ করতেই ভেসে আসছে ছবি, ভাষণ, জীবনাচারের বিভিন্ন বিষয়। শুধু বড় রেলওয়ে স্টেশন নয়, দেশের সবকটি রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত দিন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরটি দাঁড়ানো থাকবে।
শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের লোকজনের জন্য এটি উন্মুক্ত রাখা হবে। প্রদর্শনীর আগে জেলা কিংবা উপজেলা এলাকায় মাইকিং করে নিমন্ত্রণ করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য চকোলেটসহ উপহারও থাকবে।
রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলওয়েতে নতুন একটি ইতিহাস রচিত হচ্ছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রেলওয়ে কোচ-বগিতে জাদুঘর রয়েছে।
কিন্তু আমাদের ট্রেনের কোচে যে জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে, তা অন্যরকম। ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্ম-শহিদ হওয়া, ঐতিহাসিক সংগ্রামী জীবন, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উঠে আসবে এ জাদুঘরের স্ক্রিনে স্ক্রিনে।
ভেসে আসবে ভাষণ, সংগ্রামী ছবি আর ইতিহাস। অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেমসহ সর্বাধুনিক পন্থায় সাজানো হয়েছে জাদুঘরটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঐতিহাসিক জাদুঘর উদ্বোধন করবেন। ‘মুজিব শতবর্ষ’ উপলক্ষ্যে এটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ উদ্যোগ, বিশেষ নির্মাণ।
প্রায় ১০০ ফুট লম্বা একটি ব্রডগেজ এবং একটি মিটারগেজ কোচে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে জাতির পিতার নামে জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছে। পাণ্ডুলিপি, ভিডিও, স্লাইড-শোসহ প্রয়োজনীয় সব কাজই সমাপ্তির পথে।
প্রতিটি স্টেশনেই এ ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর নির্ধারিত দিন পর্যন্ত রাখা হবে। দর্শনার্থীদের বসার স্থানসহ প্রয়োজনী সব কিছুই রেল করবে। এলাকায় মাইকিং করে দর্শনার্থীদের নিমন্ত্রণ করা হবে।
রেলওয়ে মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পরপরই এটি রেলযাত্রী এবং সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। আশা করছি, নভেম্বরে এটি উদ্বোধন হবে।