শেখ পরশের নাম্বার ক্লোন করে অর্থ আদায়, আটক ২

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশের ফোন নাম্বার ক্লোন করে তার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ফিরোজ খন্দকার (২৮) ও তার সহযোগী রাকিবুল ইসলামকে (২২) গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দিনগত রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজীমনগর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ইন্টারনেট রেফারেল টিমের লিডার সহকারী কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ জানান, প্রযুক্তির সাহায্যে নানান তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ফিরোজ খন্দকারকে সোমবার রাত ১টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজীমনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়। শেখ ফজলে শামস পরশের মামলায় গ্রেফতার হলেও তার নামে আরও তিনটি প্রতারণার মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ফিরোজ খন্দকার গ্রেফতারের আগে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি ঢাকার খিলখাঁও থেকে কেরানীগঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন বুথ থেকে প্রতারণার টাকা তুলেন।

সন্দেহ এড়াতে টাকা উত্তোলনের সময় মোটরসাইকেল চড়ে বিভিন্ন বুথ থেকে অল্প অল্প করে টাকা তুলতেন। অভিযোগ পেয়ে খিলখাঁও ও কেরানীগঞ্জের যেসব বুথ থেকে ফিরোজ খন্দকার টাকা তুলেন তার সবগুলোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ফিরোজ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের ফোন নাম্বার ক্লোন করে সংগঠনের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এ কাজে ফিরোজ খন্দকার প্রথমে ইন্টারনেট থেকে যুবলীগের বিভিন্ন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। তিনি সেসব ফোন নম্বরে ডায়ালার অ্যাপের মাধ্যমে নম্বর ক্লোন করে ফোন করতেন।

প্রতারক ফিরোজ খন্দকার এসব ফোন কলে সরাসরি টাকা চাইতেন না। বিভিন্ন কর্মসূচির কথা বলে তিনি পরশ পরিচয়ে টাকা দাবি করে বিকাশ-রকেট নম্বর দিয়ে টাকা চাইতেন। সংগঠনের চেয়ারম্যানের ফোন নম্বর পেয়ে নেতারা উৎফুল্ল মনে টাকা পাঠাতেন। আর তিনি সেই টাকা বিভিন্ন বুথ থেকে তুলতেন।

তবে এসব ঘটনায় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস বাধ্য হয়ে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দেন। তিনি বুঝতে পারেন তার নম্বরটি ক্লোন করে অর্থ আত্মসাৎ করছে একটি চক্র। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা পোস্ট করেন শেখ পরশ।

পরে ১৫ অক্টোবর যুবলীগ চেয়ারম্যানের হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান।

পরবর্তীতে আসামীদের আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড প্রদান করেন।