দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ জাদুঘরের সামনে গণঅনশন করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। সেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ গণঅনশন কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আলোচনা শেষ করে তারা শাহবাগ মোড়ের সড়কে অবস্থান নেন। এসময় আশপাশের বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের গণঅনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে একাত্বতা প্রকাশ করে এ সময় বিভিন্ন রাজীনৈতিক, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের পুরোহিত মহামন্ত্র কিপ্তন দাশ বলেন, ‘আমরা সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, নির্যাতনে জড়িতদের বিচার দাবি করছি। সারাদেশে আজ গণঅনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।’
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক।
গণঅনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি জাফর উল্লাহ চৌধুরী, জাসদ নেত্রী শিরিন আকতার, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাবি শিক্ষক ও ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অরুণ কুমার, বালাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব পলাশ কান্তি দেসহ প্রমুখ।