বিএনপি ধর্মান্ধদের মাথার উপর ছাতা ধরে রেখেছে উল্লেখ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপি উগ্রবাদীদের সহযোগিতা করছে তাই এ ধরনের আক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যাবে। বিএনপির সাথে ধর্মান্ধ চক্রের একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস: রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় হাসানুল হক ইনু এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি তিন ধরনের শত্রু আমাদের চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে, তাদের আক্রমণের শিকার আমরা হচ্ছি। এক. উগ্র ধর্মবাদী জামায়াত-শিবির সাম্প্রদায়িক চক্র, এটা দৃশ্যমান বাইরের শত্রু। আর ভেতরের শত্রু হচ্ছে প্রশাসনের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কিছু সাম্প্রদায়িক কর্মচারী। তৃতীয় শত্রু রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক অঙ্গনের ভেতর অনুপ্রবেশকারী কতিপয় সাম্প্রদায়িক শয়তান। এই তিন শত্রুর কারণে বার বার হামলা হচ্ছে। হামলা ঠেকাতে আমরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছি। সুতরাং ধর্মান্ধদের আক্রমণের পুনরাবৃত্তি যদি ঠেকাতে হয় তাহলে এই তিন শত্রু নির্মূল করা আমাদের কাজ।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই ধর্মান্ধ উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী চক্রের ধ্বংস কামনা করছি। আজকের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যে উগ্রবাদীদের আক্রমণ বাংলাদেশে আর হবে না এর নিশ্চয়তা দেয়া। এটাই হচ্ছে গুরুতর রাজনৈতিক প্রশ্ন। সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নকে নিষ্পত্তি করতে ধর্মান্ধ শত্রুদের চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে যদি বাংলাদেশে ধর্মান্ধদের আক্রমণের পুনরাবৃত্তি আমাদের ঠেকাতে হয়, অসাম্প্রদায়িক সরকারের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হয়। তাহলে অসাম্প্রদায়িক প্রশাসন দরকার। একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক অঙ্গন, দল এবং সংবিধান দরকার। এই জিনিসগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ধর্মান্ধদের হামলার পুনরাবৃত্তি হবে না সেটার নিশ্চয়তা প্রদন করার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে একটা নিরাপদ আবাসস্থল করে তুলতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াসহ আরও অনেকে।