চারিদিকে শ্বাসরুদ্ধকর একটা অবস্থা: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চারিদিকে শ্বাসরুদ্ধকর একটা অবস্থা, মানুষ পরিবর্তন চায়। তারা জিজ্ঞাসা করে, কবে এই অবস্থা থেকে বের হতে পারবে? আমি বিশ্বাস করি অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। হতাশার কোনো কারণ নেই। ’

শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী সংবর্ধনা গ্রন্থ’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাভাবিকভাবেই আমি যেহেতু রাজনীতি করি, একটা বড় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, আপনারা আমাকেই জিজ্ঞাসা করবেন কবে এই অবস্থা থেকে বের হতে পারব। আমি সরাসরি উত্তর দিতে চাই, আমরা অবশ্যই বের হতে পারব। কারণ এদেশের মানুষ কখনোই পরাজয় বরণ করেনি। পাকিস্তান থেকে শুরু করে, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, মানুষ যখন জেগে উঠেছে তখন অবশ্যই পরিবর্তন হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি পরিবর্তন আসবে, হতাশার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, আমাদের সময় শিক্ষকদের একটা সম্মান ছিল। আনোয়ার উল্লাহ সাহেবরা যখন হেঁটে আসতেন, তখন শিক্ষার্থীরা মাথানত করে সম্মান জানাতো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের বক্তব্য যখন শুনি তখন লজ্জা হয়। ৫০ বছরে আমরা এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করলাম যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমার লোক হতে হবে। হয়তো আমার এ কথায় অনেকে কষ্ট পাবেন, কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমরা এরকম একটা ব্যবস্থায় চলে গেছি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, কিছুক্ষণ আগে একজন সাংবাদিক আমাকে জানালেন যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি খোয়া গেছে। শাহবাগ থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের শাসকদের এবং শাসন ব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র।

তিনি বলেন, প্রফেসর আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী সাহেবের কৃতিত্ব সেই জায়গায় যে এই দুঃসময়ের মধ্যেও তিনি হতদ্যম হননি। তিনি তার কাজ করে চলেছেন। এখানেই তার সফলতা। আমি এই গুনিজনদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি, কারণ তারা এখনও আমাদের আশার আলো দেখান।

বাংলা একাডেমির সাবেক মহা-পরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা আনম এহসানুল হক মিলন, ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ইউসুফ হায়দার।