বঙ্গবন্ধু’র অসমাপ্ত আত্মজীবনী বাঙালির ইতিহাসের স্মারক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
রোববার (৩১ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রিক ভাষায় অনূদিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের ত্রিয়ানন থিয়েটারে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীর গ্রিক অনুদিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। প্রধান বক্তা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন সাবেক শিক্ষা সচিব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাদুঘর এর কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. মামুনুর রশীদ, ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মিল্টন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটির বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১২ সালের জুন মাসে অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসের স্মারক এই গ্রন্থটি প্রকাশের পর এ-পর্যন্ত ইংরেজি, উর্দু, জাপানি, চীনা, আরবি, ফরাসি, হিন্দি, তুর্কী, নেপালি, স্পেনীয়, অসমীয়া, ইতালীয়, মালয়, কোরীয়, রুশ ও সর্বশেষ মারাঠি ভাষায় অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যারা এই গ্রন্থটি পাঠ করেছেন, আপনারা নিশ্চয় জেনেছেন-এই গ্রন্থটির নামকরণ কে করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা, আমাদের সবার প্রিয় শেখ রেহানা অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের নামকরণ করেন। শুধু অসমাপ্ত আত্মজীবনী নয়, কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থের নামকরণও তার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী লেখার পিছনে যে মানুষটির সবচেয়ে বড় অবদান তিনি হলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু তার মনের কথাগুলো লিখেছিলেন এই অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে। বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে যখন কারান্তরীণ রাখা হয় তখন তিনি এই বইটিকে সামনে নিয়ে আসেন।