
নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হিন্দুদের ওপর হামলার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘চৌমুহনীতে গত ১২ বছর এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। নোয়াখালীতে পূজামণ্ডবে কোনও হামলা হয়নি। এবারের তাণ্ডবটা কেন হলো, কীভাবে হলো, আমি সেখানকার নেতাদের সেটা প্রশ্ন রাখতে চাই। কুমিল্লায় যখন ঘটেছে এতগুলো পূজামণ্ডবে, চৌমুহনীতে, আপনারা কেন সতর্ক হলেন না।’
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্য়ালয় থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ভার্চুয়ালি হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এ সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা চৌমুহনীতে ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলীয় কার্লয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি।
কাদের বলেন, ‘ভোট এলেই হিন্দুদের কাছে গিয়ে আমরা যারা মায়াকান্না করি, হিন্দু দরদ দেখাই, হিন্দুদের বিপদের সময় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি কেন? এ প্রশ্ন আপনাদের প্রত্যেকের বিবেকের কাছে আমি রেখে গেলাম।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সেখানে ২টি প্রাণহানি ঘটলো। আমাদের বিবেক কি আলোড়িত হচ্ছে না। আমি বলবো, আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা আছে। সেটা নিজেরা খুঁজে বের করুন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আপনাদের সতর্কতার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’ যেকোনও অবস্থায় দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দশ করে তিনি আরও বলেন, ‘এতগুলো মণ্ডপ চৌমুহনীতে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিলো, আপনারা কি নিরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন? একটা প্রতিরোধও তো হলো না। এটা নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে আমাকে দুঃখ দিয়েছে। আমি নিজে লজ্জা পেয়েছি। কী জবাব দেবো আজকে হিন্দু সম্প্রদায়কে।








