
রাকিব মোরতাজা
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো ৪ নেতাকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পরিপূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া।
তিনি বলেন, খুনি জিয়া মোস্তাক গংরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর খুনিরা বসে থাকেনি। তারা ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্দয় ভাবে হত্যা করে। তারা চেয়েছিলো জাতীয় চার বীরকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরদিনের জন্য মুছে ফেলতে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জেল হত্যার মধ্য দিয়ে জাতি তাদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরেছিলো। দেশের মানুষ বুঝতে পারে এ হত্যাকাণ্ড ছিলো দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার পায়তারা। তারা চেয়েছিলো দেশকে পুনরায় পাকিস্তানি রাষ্ট্র বানাতে। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি আমাদের জাতিসত্তা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বার বার চেষ্টা করছে। তারা এখন থেমে নেই। এখন তারা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে। অপশক্তি চায়না দেশ ভালো থাকুক। তারা চায় না দেশের মানুষ ভালো থাকুক। তারা দেশকে সবসময় অস্থিতিশীল করতে চায়। কিছুদিন পূর্বে তারা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছে । কিন্তু দেশের জনগণ তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়নি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ঘুরে দাড়াতে হবে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সর্ব দিকে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের দরবারে সম্মানিত । দেশের এ উন্নয়ন দেখে বিএনপি-জামায়াত শঙ্কিত হচ্ছে। তারা কোন ভাবে দেশের অগ্রযাত্রা মেনে নিতে পারছেনা। তাই তারা সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেষ্টা করছে। তারা যাতে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সে দিকে সবার সজাগ থাকতে হবে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশকে নিরাপদ রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মিকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। সভায় দলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।









