করোনাকালে যেসব গণমাধ্যমকর্মীর চাকরি গেছে তারা আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় বিএফইউজের নবনির্বাচিত সভাপতি ওমর ফারুক, সহ-সভাপতি মধুসূদন মণ্ডল, মহাসচিব দ্বীপ আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, কার্যনির্বাহী সদস্য ড. উত্তম কুমার সরকার, সেবিকা রানী, শেখ নাজমুল হক সৈকত উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা চলে গেছে। এখন ব্যবসা-বাণিজ্যে যে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে, গণমাধ্যমেও করোনাকালে যেসব সংকট ছিল, সেগুলো এখন আর নেই। অনেকটাই দূরীভূত হয়েছে। আমি আশা করবো করোনাকালে যাদের চাকরি চলে গেছে তারা আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হবেন।
গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে। চেষ্টা করছি আগামী সংসদে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সম্প্রচার আইন নিয়েও কাজ চলছে, সেটি অনেক দূর এগিয়েছে। প্রত্যেকটা হাউজ যদি সাংবাদিকদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করে তাহলে একটি সুরক্ষা হয়। এটি কিন্তু ওয়েজবোর্ডেও বলা আছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো এ ব্যবস্থা করতে।
‘একজন সাংবাদিক এত বছর চাকরি করার পর শূন্য হাতে ফেরত যাবে এটি কখনো হয় না, এটি হওয়া উচিত নয়। কারণ যারা সাংবাদিকতা করেন তারা মেধা ও যোগ্যতায় অনেকের চেয়ে ভালো। কিন্তু তাদের চাকরিতে যে পাওনা কিংবা চাকরি শেষে যে পাওনা সেটি অনেকের থেকে কম। সেটি হওয়া অনুচিত।’
প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পুরস্কার পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠান তাকে পুরস্কৃত করেছে এবং পাকিস্তানের একজন সাংবাদিকের হাত থেকে তার স্বামী পুরস্কার গ্রহণ করেছেন, আমি অভিনন্দন জানাই তাকে। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।
বিএনপির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির ক্ষেত্রে একটি কথা প্রযোজ্য, মহাসমুদ্রে আশাই একমাত্র ভরসা। এটি বিএনপির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আশা নিয়েই ওনারা বেঁচে আছেন। আশা থাকা ভালো, যে একদিন পরিবর্তন হবে। অবশ্যই একদিন তো হবে, সবাই তো চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না। সেই পরিবর্তন বিএনপির জন্য মানুষ চায় কিনা সেটি হচ্ছে প্রশ্ন। কারণ মানুষ এই উন্নয়ন অগ্রগতি বাদ দিয়ে যারা মানুষের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে বা নিজেদের স্বার্থে মানুষকে জিম্মি করার রাজনীতি করে, যারা হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, তাদের জন্য মানুষ কী পরিবর্তন চায় সেটি হচ্ছে প্রশ্ন।