দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে গুজব ছড়িয়েছে বিএনপি। গুজব ছড়িয়ে সারা দেশ অস্থিতিশীল করার পায়তারা করে দলটি। গুজব ছড়ানোর পরও আন্দোলনে কোন নেতা-কর্মিকে মাঠে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার ( ২৩ নভেম্বর) রাতে এ গুজব ছড়ানো হয়। এ গুজবকে কেন্দ্র করে যাতে কেউ নাশকতা করতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।
ইতিপূর্বে দলটি নানা সময় বিভিন্ন মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে সারা দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার চেষ্ঠা করে। মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েও তাদের কোন নেতা কর্মিকে মাঠে দেখা যায়নি।
ডিএমপির একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বলেন, মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে গুজব ছড়ানোর চেষ্ঠা করা হয়। সে জন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এই বার্তা পেয়েই সদর দফতর থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে মৌখিকভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ছুটিতে আছেন তাদের ছুটি ২৩ নভেম্বর থেকে বাতিল করা হয়েছে। তাদের সবাইকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মাতৃত্বকালীন, অন্তঃসত্ত্বা জনিত ও শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া অন্য যেসব কারণে কর্মকর্তারা ছুটি নিয়েছেন তাদের বুধবারের মধ্যে কর্মস্থলে ফিরতে হবে। কেউ বুধবার ফিরে না এলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার হিমোগ্লোবিন কমে যায়। তবে চিকিৎসকরা রক্ত দেওয়ার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তার শরীর। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।