মামলাজট কমাতে নতুন চিন্তা করতে হবে: আইনমন্ত্রী

মামলাজট কমানোর জন্য নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির ওপর জোর দিতে হবে। গতানুগতিক ধারায় জট কমাতে গেলে বেশ সময় লাগবে। সেজন্য এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, জজ সাহেবরা বলবেন, তোমরা আগে আপস করে আসো, তারপর আমাকে জানাও। এটা কীভাবে আইনে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সেটা চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজদের ২৫তম জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে একটি সুদক্ষ ও বিশ্বমানের বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে চায়। এরই অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে ৮৫৫ জন বিচারককে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাব না হলে এ সংখ্যা হয়তো এতদিনে ১৫০০ ছাড়িয়ে যেত। দেশীয় প্রশিক্ষণ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

‘দেশেই বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে মাদারীপুর জেলার শিবচরে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল একাডেমি গড়ে তোলা হবে। এখানে বিচারকদের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উপযোগী একাডেমি গড়ে তোলা হবে। এর কাজ আগামী বছর শুরু করা হবে’, যোগ করেন আইনমন্ত্রী।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন। ট্রেনিংয়ে গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের ৩২ জন জেলা ও দায়রা জজ অংশ নেন।