শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ (মঙ্গলবার)। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস পরিকল্পিতভাবে এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথম প্রহরে রাত ১২টা এক মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল প্রাঙ্গণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আলোক প্রজ্বলন করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার নেতাকর্মীরা।
এদিকে একই সময়ে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ।
এছাড়াও সকাল সাড়ে ৮টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, সকাল ৯টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন এবং সকাল সাড়ে ৯টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবে সংগঠনটি।
একইসঙ্গে ছাত্রলীগের সকল ইউনিটকে (জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, উপজেলা, থানা, পৌর) নিজ নিজ ইউনিটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর আল-বদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়ের বাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দুটি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আল-বদর বাহিনী আরও অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে।