সাংসদ ফিরোজের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ খারিজ

সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালীর বাউফল-২ আসনের এমপি আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ ১১ দিনের মাথায় খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ( ২০ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন ২০১ ধারায় মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।

এর পূর্বে গত ৯ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) আদেশের দিন ধার্য ছিল। তবে একদিন পর সোমবার আদেশ দেওয়া হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত ৯ ডিসেম্বর বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল হক বাদী হয়ে একই আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিম্ন আদালতের আদেশে বাদী ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তাই বাদী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছিলেন- আজ থেকে ৪৫ বছর পূর্বে অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এমপি নেতা ফিরোজ বরিশালে আনন্দ মিছিল করেন এবং তার ছবি উল্লাসের সঙ্গে পা দিয়ে মারিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতার মামলা পরিয়ে আনন্দ মিছিল করেন তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রশ্নে দলের অভ্যন্তরে বিভেদ সৃষ্টি, স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে কাজ করা, রাজাকার আলবদরদের পুনর্বাসন, ক্ষমতার অপব্যবহার, চরম অনিয়ম দুর্নীতি এবং নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন।

আদালতে দায়ের ওই অভিযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং বরিশাল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন ভুলুসহ ১০ প্রভাবশালীকে সাক্ষী করা হয়েছিল।