হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব রয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তার দাবি, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য বারবার দাবি করা সত্বেও সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব থাকছে। পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এদেশে সম্ভব নয়। তাকে বাঁচাতে হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা জরুরি প্রয়োজন। যতই দিন যাচ্ছে তার শারীরিক অবস্থার ততই অবনতি ঘটছে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়ার মুমূর্ষু অবস্থাকে কোনোভাবেই বিবাচনায় না নিয়ে সরকার এক ভয়ানক মনুষ্যত্বহীন চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তাকে পৃথিবী থেকে বিদায় করার জন্যই তার চিকিৎসা নিয়ে সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়ার মতো সংগ্রামশীল জীবন এখনও কেউ অতিক্রম করতে পারেনি।
খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এক চরম সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন দাবি করে রিজভী বলেন, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে দেশনেত্রী বঞ্চিত হচ্ছেন মৌলিক মানবাধিকার থেকে। দেশের প্রচলিত আইনে দেশনেত্রীর বিদেশে চিকিৎসা সম্ভব। দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবিকেও অগ্রাহ্য করে সরকার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিঃশেষ করে দেওয়ার আয়োজনে ব্যস্ত।
রিজভী বলেন, আমরা আবারও জোরালো কণ্ঠে বলতে চাই, এই মুহূর্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।