নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়ন এবং সাংবিধানিক সংস্থাটিকে একটি জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানায় দলটি।
বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন, দক্ষ, সৎ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচন কমিশনকে একটি জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাসহ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আহভি আহমেদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই এ আলোচনার মূল উদ্দেশ্য।
পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ন্যাপ সভাপতি।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্র্টির দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আহভি আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
ন্যাপ সদস্যরা বঙ্গভবনে এলে রাষ্ট্রপতি তাদের স্বাগত জানান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।
সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি।