এমভি অভিযান-১০ এর বিরুদ্ধে নৌ-আদালতে দায়ের করা মামলায় লঞ্চের দুই মাস্টার আত্মসমর্পণ করেছেন।
মঙ্গলবার ( ২৮ ডিসেম্বর) সকালে মামলার ৫ নম্বর আসামি মো. রিয়াজ সিকদার (ইনচার্জ মাস্টার) ও ৭ নম্বর আসামি মো. খলিলুর রহমান (২য় মাস্টার) স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করতে নৌ-আদালতে এসে জামিন প্রার্থনা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, অভিযুক্তরা তাদের কর্তব্য কাজে চরম অবহেলা করে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক ও কলঙ্কজনক নৌ-দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। আসামিরা যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বিপদে জাহাজ ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা কোনো জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করেনি। অগ্নিকাণ্ডের পর জাহাজ তীরে না ভিড়িয়ে চালু রেখে চরম অবহেলা প্রদর্শন করে এই ট্র্যাজেডি ঘটান। এই ঘটনায় ৪২টি তাজা প্রাণ পুড়ে ছাই হয়েছে। ন্যায়বিচার শুধু করলেই হয় না মাননীয় আদালত, ন্যায়বিচার দেখিয়ে দিতে হয়। আমরা আসামিদের জামিনের ব্যাপারে জোর আপত্তি করছি।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি আসামিদের জামিন প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, জামিন পেলে আসামিরা বিচারে অংশগ্রহণ করবে এবং পলাতক হবে না।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে নৌ-আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত রোববার নৌ-আদালতে দায়ের করা মামলায় এম.ভি. অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, ড্রাইভারসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।