আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য “সার্চ কমিটি” গঠনে রাষ্ট্রপতি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করছেন এবং তাদের মতামত গ্রহন করছেন। কিন্তু এ কমিশন গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি। এজন্য তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার ভাবে বলে দিতে চাই- কমিশন গঠনের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তা পূর্ণ সমর্থন করেছে। আমরা আশা করি এই কমিশনের অধিনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অবাধ, সুষ্টু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের মান্ডেট নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বগ্রহন করবেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত “মুজিববর্ষে বিজয়ের ৫০ বছর ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চচনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।
আব্দুর রহমান বলেন, দেশের একটি রাজনৈতিক দল আছে। সেই দলের নাম বিএনপি। তারা দেশের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না। শুধু নির্বাচন বয়কট করবে আর পিছনের অন্ধকার গলি ও দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখবেন। তিনি আরও বলেন- একাত্তরের পুরনো শকুনেরা নতুন করে মানচিত্রকে খামচে ধরার ষড়যন্ত্র করছে। একাত্তরের পরাজিতরা নতুন করে দেশের পতাকা ছিন্ন বিছিন্ন করার অপচেষ্টা করছে। নানা অযুহাতে স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন- বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। আমরাও চাই তিনি দ্রæত সুস্থতা লাভ করুক। তার সুস্থ হওয়ার জন্য যে চিকিৎসা প্রয়োজন- সে চিকিৎসা বাংলাদেশে হচ্ছে। কিন্তু দেখলাম- খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সেবার নামে বিদেশ নিতে রাজপথে নৈরাজ্য সৃষ্টি পায়তারা করা হচ্ছে। আমরা পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই- বেগম খালেদা জিয়া একজন সাজাভোগকারী। দেশের সংবিধানের চোখেও তিনি আসামী। তাকে বিদেশ নেয়ার নামে কোনো ধরনের নৈরাজ্য তৈরি করতে চাইলে- কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমি বলছে চাই- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাড়া দিয়ে যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ওই ষড়যন্ত্রের দাত ভাঙা জবাব দেয়া হবে।